নিয়ম করে প্রতিদিন অন্যের লিখা আত্নহত্যার চিঠিগুলো পড়ছি—
যেনো মানুষগুলোর মৃত আত্নারা আমার সাথে কথা বলছে।
—আপনারা মৃত্যুর উৎসাহ পেলেন কি কোরে?
—যুদ্ধবিধ্বস্ত জীবনের বিভীষিকায় আমরা অস্তিত্ব হারিয়ে এসেছি বীভৎস সময়ের কাছে।
—অর্থাৎ আপনারা শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন
—যতটা শান্তিপ্রিয় হলে আগুনখেকো মানুষ নিজের ভেতর সূর্যকে ধারণ করে।
পুরনো পাপ মুখে তুলে ধরে বিষের পেয়ালা—
বেঁচে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করি ওরা প্রতিবাদ করে
আকাশ স্পর্শ কোরবার ইচ্ছে হয় পাখিরা বিদ্রোহ শুরু করে—
যেহেতু অন্যের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অপরাধ।
তবে সেই পথ কোথায় পাই যেখানে স্রষ্টার দেখা মেলে কফিনের নৃশংসতায়—নরক কখনোই একমাত্র গন্তব্য নয়।
সন্ধ্যায় বন্ধুকে কিছু একটা লিখতে দেখেছি—ঘুমোতে যাবার নাম কোরে জীবন তাকেও ঝুলিয়ে রেখেছে—যেভাবে মৃত্যুখেকো কসাইয়েরা দোকানে রাখেন মাংস।
সভ্যতার সূত্রানুযায়ী মানুষ জীবনের প্রভু—
উপভোগ করবে স্বাভাবিক;
কিন্তু জীবন তাদের উপভোগ করলে তারা হয়ে যায় যন্ত্র।
মানুষে রজন্মের পরই পৃথিবীর পথে মৃত্যু বেড়িয়ে পড়েছে শিকারের খোঁজে —প্রতিনিয়ত লাশের স্তুপে ভোজ সাড়ে। নিদ্রা বোলে কিছু আছে নাকি সবই চিরনিদ্রা? ভাতঘুমেও ভয় হয়।
যে পথেই আসুক শান্তির ইশতেহার হিসেবে একটি কবিতা পাঠ করবো।