আজকে বড়োই ইচ্ছে করে সু…… ফিরে পেতে সেই আগের ছেলেবেলা, সোঁদা মাটির গন্ধে মাতাল করা সবুজ গ্রাম নিঝুম বকুলতলা।। দুকদম আজ জোরে হাঁটতে গেলেই ফেলতে হয় যে ঘন ঘন শ্বাস,
ষাটটি বছর পেরিয়ে গেছি আমি
তুইও তো সেই পেরোলি রে পঞ্চাশ।। বউ= বসন্তের মেরে মরার ছুট
অনেক শেষে সেই তো তোকে ছোঁয়া। হাঁটু ব্যথা কোমরে টনটন
বুক ধড়ফড় চোখ দুটিও ধোঁয়া।। জানতামও না কতোটা ছিলো দম সেটা ছিলো এক রবিবারের দুপুর, দেখাতে তোকে ডুব সাঁতার দিয়ে
পেরিয়েছিলাম মস্ত একটা পুকুর।। জেদ করে তুই বলেছিলি সেইদিন “ফের একবার আর একটিবার আবার”= শেষমেশতো দম আটকে গিয়ে অবস্থা সেই শমনঘরে যাবার।। কাঁদো কাঁদো মুখেতে লাগিয়ে মুখ জোরে ফুঁ দিলি পাগলিনী প্রায়, চেষ্টা টা তোর বিফল গেলনাতো বেঁচেই গেলাম আমি সে যাত্রায়।। মাথা আমার আজকে ন্যাড়া মাঠ তোর চুলেতেও আজ রুপালী রেখা, কোথা দিয়ে ত্রিশসাল চলে গেল তোর সাথে সেই প্রথম হওয়া দেখা।। তোর ছেলে আজ প্রবাসই বাঙালীবাবু
আমারটাও জানিনা কোথায় থাকে,
আজকে আমার বসত ” অস্তরাগে”
ঠিকানা তোর হারা জীবন বাঁকে।। রাতে এখন ঘুম আসে না চোখে বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থাকি একা,
তিরিশটা সাল ক্যামনে কেটে গেল সেই শেষবার তোর সাথেতে দেখা।। রাত কেটে যায় ভোর হয় ঠিক দেখি
সামনের গাছে ডাকতে থাকে পাখি,
যন্ত্রণাময় জীবণ হয় না শেষ
আর কতো টা ভোগান্তি আছে বাকি?
একদিন ঠিক সূর্যও যাবে ডুবে সময় সমুদ্রে ঊঠবে না আর ঢেঊ,
দুদিনের এই খেলাঘর সমাপনে দু ফোঁটা চোখের জল কী ফেলবে কেঊ?
2023-11-11