“হনহনিয়ে সাতসকালে চল্লি কোথায় বিশে “?
” বলিসনে ভাই কালকে ফোনে ডাকলে মেজো পিসে”।
“তোর পিসেতো থাকে জানি চালতাবাগান মেসে ,
হলুদ রঙা সেই ঘরে না পথের বা’পাশ ঘেঁষে”?
“ঠিক বলেছিস ঠিক বলেছিস সেটাই সে মেসবাড়ি
পথের হদিস দে না আমায় যাবো তাড়াতাড়ি”।
“কাজটা যেন কোথায় করে তোর সে মেজো পিসে ?
আমি তো ভাই শুনেছিলাম কোলকাতা পুলিশে”।
“না রে না ভাই পৌরসভার অফিসে কাজ করে ,
একই পদে আটকে আছে দশটি বছর ধরে ।
বল্লে সেদিন আমায় ডেকে অনেক অনেক কথা ,
শোনার পরে বুকে আমার জাগলে তুমুল ব্যথা।
রাজকোষে ভাই নাইরে টাকা ডি. এ বহুত্ বাকি ,
কিন্তু মেলায় দেদার খরচ তায় পড়ে না ফাঁকি।
মাটিমেলা ,চাটিমেলা,বারোমাসই মেলা
জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ চলছে ছেলেখেলা।
থাক না সে সব বলবি আমায় ক্যামনে সেথায় যাবো ,
কোনখানে ভাই দাঁড়ালে যে ট্রাম বাসটা পাবো”?
“নাক বারবার যা হেঁটে যা বাদুড়বাগান মোড়ে,
জোড়াফুল আর লাল রঙা ফ্ল্যাগ দেখবি সেথায় ওড়ে।
সেখান থেকে মিলবে দেখিস ভুল হবে না মোটে ,
তা নইলে নয় হাঁটাই দিবি বাস যদি না জোটে।
মিনিট দশেক হাঁটলে পাবি গুয়াবাগান বস্তি,
চালিয়ে ডি .জে দিবারাত্র চলে যেথায় মস্তি।
হাঁটবি তারপর বামদিকে তুই পাঁচমিনিটের মতো,
দেখিস সেথায় পুরসভার ভাঙা গাড়ি যতো –
সার সার ওই দাঁড়িয়ে আছে একের পরে এক,
তারপরে তুই ঘাড় ঘুরিয়ে ডানদিকেতে দ্যাখ।
দেখবি যে সেই হলুদবাড়ি যেথায় থাকে পিসে,
ওরে বিশে এটাই হলো সেথায় যাওয়ার দিশে”॥
2023-11-07