5/5 - (1 vote)

ফুল পাতা, ললিত লবঙ্গ লতা, কিশোরীর স্তন, কালিদহ পার,
এইসব লিখি টিখি, গুরুদেব দেয়ালেতে, কবির নিটোল সংসার !
অতঃপর, ঝোলে ও অম্বলে
লাল বিপ্লবের মাছি বিলিতি স্কচে দীর্ঘজীবী হয়ে,
মুষ্ঠিবদ্ধ ক্লান্ত হাত, গোল্লায় গড়ালো রসাতলে !
তারপর, এদিক ওদিক কিছু পাড়ভাঙ্গা বেনোজল ইত্যাদি ইত্যাদি,
কবি মানে রবি গুরু, মাঝে আমি, আর শুধু বাল্মীকি আদি !

শুরুর দিকটা ভরে, হৃদয়ের লাবডুব, সে ভরা নদীর, আঁতলামি কেচ্ছা কাহিনী !
হা কবিতা, ও ববিতা, মারকাট, বয়কাটে সিংহবাহিনী !
পরে এলো মেঘবালা, পলিপিছল দ্বীপে ঘন ভালোবাসা, মগ্ন চৈতন্য, ন্যাকামি, আলতো আঁতলেমি, ভান,
সোফাসেট, খুনসুটি, চেনা খিস্তি, মান অভিমান–
অবশেষে ঘুম ভেঙে আরামের পিঠ চুলকানো, কি যেন টিউব,
টিকটক, ফলোয়ার, দানিউব, জানি তো, আজকাল যেতে হয় খুব!
এই সবে ঝোল টেনে, ভাবলাম তোকে খুঁজে পাবো,
সংস্কৃতি দাওয়ায় বসে একাডেমি বেলুন ফোলাব !

এই সব কাব্য চর্চা হলে,
বেগুনফুলীর শীর্ণা, বেশ্যা মেয়েটি উঠে বসে, বলে,
‘যৌনকর্মী বলুন না, যদিও আমি তো কবিতা,
দেওয়ার যা কিছু ছিল, ধুয়ে গেছে এখন সবই তা !
নির্বিকার ব’লে, ‘ভালো কবিতা হতাম
সেদিন স্কুল থেকে ফেরার রাস্তায়
যদি না ছয়জনে মিলে’
ভাঙা সে পাঁচিলে -,
কবিতা হাঁপায়
বিবর্ণ রঙীন ঠোঁট থুতু ফে’লে, বখশিশ চায়,
পাঞ্জাবিতে মান্যবর, আমি কবি , ঢপের দালাল,
নির্বস্ত্র অস্তিত্ব খোঁজে অন্তমিলে কবিতা, আড়াল !

ফিরে আসি, বন্ধ দরজার নীচে প্রানপনে কলম চালাই,
বিবর্ণ কবিতা হাসে ! পৌরুষ বিপন্ন বালাই !
ঘরের ভেতর, শুনি উদাসীন নিঃস্ব কবিতার,
খদ্দের ভজানো জিভে, কামহীন নাটুকে শীৎকার,
চোখ বুঁজে থুতু ফেলে দেউলিয়া দেয়ালে, অসুখে,
সশব্দে পেচ্ছাপ করে, ছয়খানা নেকড়ের মুখে !
কবিতার নিঃশব্দ চিৎকার, বিষণ্ণ বিপন্ন লজ্জায়,
মিশে গিয়ে, সুগভীর অবিশ্বাসে নিজেকে চেনায় !

কবিতা, লাবণ্যপ্রভা, নিষ্কাম ললিতা আমার,
জগন্ময়ী প্রেম, যদি পারো,
ক্ষমা করো,
বৃথাই স্তন দানে লালন করেছো, নারীত্ব বিলিয়েছো অকলুষ আত্মসমর্পনে,
আমি কোনদিনই তোমায় চাইনি!
আমি কোনোদিনই তোমায় পাইনি!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments