এক মৃত মাতালও হঠাৎ সমুদ্র হয়ে যেতে পারে,
সে কৃষ্ণপক্ষে প্রথম জানলাম
তোমাকে চোরাবালিতে চুমুক দিতে দেখে।
মৃত তিমিরের সরাইখানায় কোনো এক ঘুমপাড়ানিয়া পানপাত্রের ছায়া পিছু পিছু এসে
চুরি করে নিলো চশমা।
আমাদের উদ্ভট পৃথিবীর মরিচীকা বুক পেতে
সেদিন ডেকে নিয়ে গেলো কোন এক প্রান্তরে!
মৃত চোখ খুলে দেখালাম – “ওটা, আওকিগাহারা, নয়?”
তোমার ভয়ার্ত ঠোঁট জানালো, “যদি আমরা ওখানে কয়েকটা শিশু পায়রা ছেড়ে দিই?”
আমার কড়ে আঙুলে ডিহাইড্রেশন – শিরায় অনন্ত খরা, “শান্তি? সে তো হারিয়ে গেছে ক্লিওপেট্রার অন্তেষ্টিক্রিয়াতেই!”
তবু জল দেবার কথা দিয়ে তুমি নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দিলে বর্ষাক্রান্ত তিস্তায়।
সেই হতে ফুজির অপয়া পাথরে বেড়ে উঠা
উইলোর চারায় জীবন দেবার কঠিন ছলনা করে আসছি!
আগন্তুক,
মাঝরাত্রির সিজিওফ্রেনিয়া আমার করুণ আয়না ভেঙে দিচ্ছে
প্রতিচ্ছবিতে জ্বলে যাচ্ছে অসাড় চোখ
পা তো কবেই আটকে ফেলেছি ক্লান্তির বেড়িতে,
তবুও কেন এই সিসিফাস পথ আজ বারংবার তোমার আশ্চর্য ঠোঁটের জাঙ্গাল ছিঁড়ে ঢুকে পড়তে চায়!
আমোঘ আকর্ষণ তথাপি বেঁচে আছি।
থামা তো স্থবিরতা ।লিখুন,পাশে আছি