হঠাৎ নগর যখন আমাদের পৃথক পৃথক চোখের বিদিশায়
জ্বলে যাচ্ছিলো বনবাসী হরিয়ালের অগ্নি রাঙা বুকের কোটরে,
একটি মরণাপন্ন নদী হাতছানি দিলো বহুদূর থেকে।
জীবন – জনপদ, আল জাজিরার গাঢ় লাল হেডলাইনে “পারমাণবিক ব্রেসিয়ার”, সোনার তরীর ঘনঘোর আষাঢ় পেরিয়ে আমরা কতো শ্রান্ত পথ হেঁটে হেঁটে
গিয়ে দাঁড়ালাম, যেন নিজেদেরই মুখোমুখি।
দ্যাখো কত স্বচ্ছ বিষাদ!
হাওয়া শুষে নিচ্ছে নরোম হাসি
সফোক্লিসের ট্রাজেডি হয়ে ফুটে আছে নীল গোলাপি ফুল
শূকরের পালের বন্যতা, টেনে নেবে শেষ ফোঁটা জলও!
দূরে দূরে আমাদের দৃষ্টির ক্লান্তি,
” বন্ধু, আমরা আবারও বাস্তু হারাচ্ছি?
এখানে এসে যুদ্ধ থেমে যায়? থামে না?
তোমার চোখেও ঝড়ের পূর্বাভাস!
জীবন গলা বেয়ে নেমে স্রোত হতে চায় বলো? আলোহীন ঢেউহীন মৃত স্রোত?
আমরা আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে লিখে যাই প্রহেলিকার আত্মজীবনী?
আহা, তোমারও ঠোঁটে এত মেঘ?
নদীর দুঃখও নিয়ে যাবো!
তন্ময়, আমরা কি এক একটি মৃত নদীর ধারেও অনন্তকাল শশ্মান হয়েই বাঁচবো? ”
চোখ ভিজে আসছে। আমি ছোটবেলা থেকেই নদী প্রেমী। নদীর কষ্ট আর সয় না। আমার একটি ভিডিও তে আপনার কবিতাটি আবৃত্তি করলাম। আপনার অনুমতি চাই।