আজও গোটারাত্রি সমুদ্র দেখে কাটিয়েছি,
চেনা একটি সমুদ্র
তীরে এক তীক্ষ্ণ কাঠঠোকরার স্থির সমুদ্রদর্শন
তিমিদের ডানার ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্বপ্ন,
আকস্মিক নিমেষেই কেড়ে নিলো আগন্তুক শরণার্থীর দীর্ঘশ্বাসে।
আমার চেনা সমুদ্রের উতালপাতাল
বাবার কবর আঁকড়ে থাকা কৃষ্ণচূড়ার সহাবস্থান, ঘুণে ধরা কাঠের ক্রুশ, বেদি,
শামুকের সঙ্গম, হাহাকার, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পেরিয়ে ছুটে গেল এক মরা শেফালীর কাছে।
ধূসর মলিন বৃন্ত সন্ধ্যাকালীন যৌবন হারিয়ে আহাজারি করছিলো সকাল সমীপে
তুমি কি আর এক সকালের সেই তিস্তার খেয়ালে উল্টোদিকে ভেসে যাওয়া কাগজের নৌকোর উদাসীনতা মনে রাখো?
মুখোমুখি হয়ে গেলে আরেকটি সিগারেট জ্বেলে ভিন্ন চুমু স্বাধের স্মরণে খুঁজে পাও পৃথিবীর সমস্ত মৃত নদীর দুঃখ দিয়ে গড়া শীতল গ্রামটিকে?
আজকাল ভোর হলেই পাখিদের সংসার প্রারম্ভের রেশ ছুঁয়ে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে
শুনেছি সেপ্টেম্বরের বিষাদে আত্মহত্যা করে পাখিরাও।
ডানায় ক্লান্ত জীবন বয়ে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মৃত্যুকূপে,
সেই নীল বিভ্রম তৃপ্তিতে পাখিদের কেমন বোধ হয়
তা আর জানা যায়নি
মানুষের মৃত্যুকে মানুষ কেবল নিভে যাওয়া
শেফালীর মৃত্যুকে লিনিয়াস আচরণ
এবং পাখিদের আত্মহত্যাকে “বার্ড সুইসাইড জোন” বলে বিভক্তি করে দিয়ে ক্ষান্ত হলো।
আর আমাদের সকল ক্লান্তি সন্ধ্যাতারার হাঁটু বেয়ে নামতে লাগলো ভোরের একই লুসিফার ট্রেনে।…
অসামান্য বুননকৌশল।