একবিংশ শতাব্দীর কবিতার ষড়যন্ত্র
কেঁড়ে নিয়েছে প্রেমিকার ঠোঁটের চুমু।
কেড়ে নিয়েছে নির্ঘুম প্রেমিকের প্রেম বার্তা,
উপহার স্বরূপ জমাটবদ্ধ এক বুক তিক্ততা,
বসন্তে নিমন্ত্রণ জানিয়ে কবে তাঁর বিদায় নিল,
একুশটি বসন্ত কেটে গেল, পদধ্বনি কর্ণে পৌঁছাতে ব্যর্থ,
তোমার ঠোঁটের স্পর্শতা’র পানে প্রেম পিপাসু প্রেমিক নির্বাসিত।
শৈল্পিক রেখার নিষ্পাপ ঠোঁট কাঁপছে!
দুরুদুরু বুকে আন্দোলিত,
চুমু এঁকে জড়িয়ে ধরার আকুলতা-
বেড়ে গড়ে রং-তুলি ক্যানভাসে অর্ধসমাপ্ত,
এক গাল ভালবাসা তোমার পানে অবশিষ্ট শিহরণ।
হস্তক্ষেপ প্রেম-নিবেদন হইতে বিরত!
সাংর্ঘষিক রোষানলে নিছক দেহ বিঁধে কাঁটাতারে’র বিষক্রিয়া।
অভ্যন্তরীণ দূর্বল অনূভুতি পা’য়ে মেখেছে রঙিন আলতা।
সময় কে এপিটাফ ভেবে –
শিকল বেঁধে নিয়ে চলছে অব্যক্ত অনুভূতি’র কবিতা।
সাক্ষী তোমার, সন্ধ্যা রাত্রির নিস্তব্ধতা,
সাক্ষী তোমার, কাঁটা পথের বাধ্যবাধকতা,
সাক্ষী তোমার, তপ্ত দুপুরে উষ্ণতা,
সাক্ষী তোমার, অবহেলিত ব্যস্ততা,
সাক্ষী তোমার, সরল কাব্যের সরলতা,
সাক্ষী তোমার, না’ বলা কবিতা,
সাক্ষী তোমার, চির চেনা অ-নামিকা।
সূক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণ ভিত্তিতে প্রেমিকা’কে ভালবাসার দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ড দন্ডিত প্রেমিক,
ধর্ষক-খুনির বেকসুর খালাসে গণতন্ত্র মুক্তি পাক?