পুনর্বার স্রোতে ভাসছে হাঁস, ভাসতে দাও
কোমল জলের ঘ্রাণ মাখুক হাঁসেরা;
বহুদিন পর ওরা জলে নামছে, বহুদিন পর ওরা কাটছে সাঁতার
স্রোতে রাজহাঁস আসছে, আসতে দাও,
বহুদিন পর যেন রোদ আসছে, আসতে দাও
নত হতে দাও আকাশকে,
আর একটু নত হোক আলো
আর একটু নির্জন হোক অন্ধকার!
আর তুমি, পরে নাও তোমার গহনা, দুল
তোমার আঙুল হোক হেমন্তের ফুল,
আমি শুঁকি, শুঁকতে দাও!
বহুদিন পর যেন শুঁকছি বকুল!
বহুদিন তোমার ভিতরে যাই না, বহুদিন বকুল ফুলের ঘ্রাণ
পাই না এ মনে!
মনে করতে দাও তবু কোনখানে বকুলবাগান ছিল
গেরস্থের হাজারদুয়ারি ঘরবাড়ি
উঁচু আসন, সিংহাসন
মনে করো, মনে করে নাও
আমাদেরও সিংহাসন আছে আজও
আমাদের হাজারদুয়ারি বাড়ি আছে
মাটির ময়ূর, ঠোঁটে ঠোঁটে, ফুলে ফুলে
লুকোনো ডাকবাক্স আছে সবুজের কাছে
মনে করো আমাদেরও ভালোবাসা আছে
খাগের কলমে লেখা তাদের অক্ষরগুলি
ধানের শিষের মতো টলমলায় সেখানে শরীরে
তুমি মনে করো, মনে করে নাও
তোমার শরীরে শাড়ি,
গেরস্থের হাজারদুয়ারি ঘরবাড়ি
আলো আর অন্ধকার মনে করো, মনে করে নাও
আমরা নৌকার জলে ভাসতে ভাসতে যেন প্রতীকের হাঁস
ঐ রাজহাঁস
জল থেকে আরো জলে,
ঢেউ থেকে আরো ঢেউয়ে ছড়াতে ছড়াতে
পৌঁছে যাব আগে।