“মানা”
– – – – – – – – – – – – – – – – – – –
পীযূষ কান্তি দাস
– – – — — – – – – – — – – – – – – –
মজুমদারের চালতে তলায় কক্ষণও কেউ যাসনে,
যদিও যাস ভুলেও যেন ঠুংরি খেয়াল গাস নে।
শাকচুন্নি থাকে সেথায় শনের নুড়ি চুল,
ভাটার মতো চোখ দুটো তার কানে হাড়ের দুল।
মুণ্ডমালা গলায় ঝোলে মুলোর মতো দাঁত,
কান দুখানা কুলো যেন খ্যাংরাকাঁঠি হাত।
এক পা যখন ভুশুণ্ডিতে অন্য গড়ের মাঠ ,
শুনেই বক্ষ দুরুদুরু শুকিয়ে গলা কাঠ।
স্কন্ধকাটাও রয় যে সেথায় বড়োই সে বদমাশ,
নেইকো মুণ্ডু তবুও যে তার চিবিয়ে খাবার আশ।
আরও আছে শুনবি নাকি পাবি নাতো ভয়,
তার বাপাশে বেলের গাছে ব্রহ্মদৈত্যি রয়।
কাছির মতো পৈতা যে তার বসন সাদা থান ,
দিনরাত্রি গাছে বসে করে সে সামগান।
একটুখানি আওয়াজ হলে যায় চড়ে তার রাগ,
যে জন করে আওয়াজ তারে দেয় বানিয়ে ছাগ।
বুঝিস না ভুল আমায় যেন খুঁজিস না এর মানে,
তাইতো আমি নিষেধ করি যাসনে রে সেইখানে॥
2023-11-11