এই শরতে আমরা ভিন্ন আকাশের এলিজি লিখবো
আর আঙ্গুলগুলোর খরা এতবেশী ভালোবেসে ফেলবো যে
আসন্ন শীতে পাতা হারানো সব উইলোর গাছ নিজেদের মৃত ঘোষণা দিতে ভুলে যাবে।
এইসব কথা ছিলো…
ফের ঠুকে রাখতে গিয়ে, মনে হলো –
সুবোধের বিড়ালটা মরে গেছে
দুরন্তপনার অভিযোগে মেডুসা নাম রাখা হয়েছিলো যার!
আর নেই, তবুও তুমি সন্ধ্যা কিংবা দুপুর চোখ পেতে রাখলেই দেখবে,
যেন যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া আমাদেরই কোনো শিশুটির মতো মেডুসা চেয়ে আছে বিহ্বল।
ডাক দিলেই ছুটে আসবে কোলে, থাবা পেতে বলবে, “এইখানে বড় দূষণ, আমার সাথে চলো”
জানো আজ কৃষি মার্কেট জ্বলে গেলো
জলভর্তি পিপে, চোখভর্তি আগুন,
বড় বেশি ব্যবহৃত দৃশ্য যদিও।
শুধু এবার ডিমের হালি – ভোজ্যতেলের একঘেয়ে ঝাঁঝরির বদলে নতুন উত্তাপ নিয়ে আসতে পারে সংবাদপত্র
এই যেমন – “ক্ষুদার্ত কন্যার সম্মুখে একথাল পিতৃপোড়া মাংস! ”
আমরা কেবল তিনমিনিট হাঁ করে থাকবো।
তারপর ফের হাঁটুজল ছুটে আসতে পারে মোহনদাসের আমন ক্ষেতে!
রাখাইন নারীর গণধর্ষণের খবরেও ইদানীং আমরা উদাসীন হয়ে সিগারেট জ্বালতে পারি,
বিক্ষত স্তনের বিষ নিয়ে কিংবা কথা বলতে চাইবার কণ্ঠ চেয়ে যারা ছুটে যাবে মিছিলে
তারা বরাবরই নীল ভ্যানের গিনিপিগ হয়ে চলে যেতে পারে আদালতে
যেহেতু কালো আলখাল্লা আর রূপালি হাতুড়ির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলবার পূর্ণাঙ্গ অধিকার আজও আমাদের নেই।
তবুও দেখো, এইসব শোকের জবাবে
আরও তুমুল শোকউৎসবও করতে পারি
কোনো শরৎ কিংবা শীতে তোমার আসা না আসাকে গুঁজে দিতে পারি ছাইদানির বুকে।
অভিজ্ঞতায় যতদূর জানা হলো, কথা দেওয়াও নিছক রাষ্ট্রের মতোই ছলনা।