সশব্দ একা অগণিত রাত জেগে জেগে শুনি
নিশ্চল বেহালার কান্না,
দিনে ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান হতে
তুতেনখামেনের ভাঙ্গা ভাঙ্গা গর্জন এনে
জুড়ে দেই চৌরাস্তায়।
বিপ্লব বুভুক্ষুরা ছুটে –
মার খেয়ে ট্র্যাশ হয় পিজি’র গণশয্যাবিশিষ্ট রুমে।
একদৃষ্টে উল্কা ঝরে পড়ার প্রতীক্ষায় কালো আকাশ লাল হয়ে যায়,
বিদ্রোহ এসে ঢুকে পড়ে মতি বাউলের সেতারে।
কর্কটেরা জড়ো হয়,
মার্ক্স গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, ক্ষুদার্তদের তালিকা করো
নজরুল হাঁক দেয়, তালা ভাঙ ভাঁড়ারের;
কেন্দ্রীয় দেয়ালের আহ্বান, স্বৈরাচারের মৃত্যু!
সমস্ত একীভূত জলসা –
সচিবালয়ের গাদা গাদা ঠিকুজীতে জমা পড়ে জনজীবনের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ
অতঃপর প্রাক শতাব্দীর এলিজির ভারে ক্লান্ত জনজীবন হাত পাতে সূর্যের নিচে
অবশেষে রাত্রির নিঃস্তব্ধতায় নাগরিক মঞ্চের পর্দা পড়ে গেলে চোখ খুলে দেখা যায় কেবল আলসে নিয়ন – পুরাতন ল্যান্ডস্কেপ,
চারিদিকে মৃত মৃত কংক্রিট আর জড়ীভূত যৌনতার নীরব শ্মশান।