হে সমাপ্তি, মমঃ অক্ষিলোম বিচ্ছেদ্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তিপত্র
তোমাতে হারায়-ফিরায়,
শ্মশান ঘাটের শেষকৃত্যে’র পোড়া কাঠি,
তবে, এই হক বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী,
সমাপ্তি তুমি অগ্রগামী।
হে সমাপ্তি, তুমি নমঃশূদ্র বিমোচক ধারায় দূর্বল
কঠোর পানে উড়াইয়া দেখো,
লুটাইয়া পড়বে তোমার বাহুদ্বয়ে।।
বিচ্ছেদ পত্র উড়ছে শরৎ’র অভ্রনীলে
আহ্বান কর সমাপ্তি সম্ভাষণ!
হে সমাপ্তি, অগ্রাহ্য সম্পর্ক’র বিতৃষ্ণা,
মুখোশ-মানুষের বিপরীতা’র যৌনতা,
অবশিষ্ট আবিষ্কৃত মৌনতা,
তুমি ব্যাখ্যার্থে নিঃশেষ,
আত্মকেন্দ্রিক-চিন্তাচর্চার উপসর্গে অবশেষ।
ব্যাক্তিগত-প্রথাগত চক্ষুকর্ণে,
সমাপ্তি’র গনতান্ত্রিক শোক
হে সমাপ্তি, স্পষ্টতা’কে অস্পৃশ্য ভেবে,
বেওয়ারিশ ফুলের কাঁটা গুটাও দূরত্বের উৎসাহে,
নিষিদ্ধ পল্লীতে উঠতি যৌবন-
বিকাও অন্ধের অন্ধকারঃ আহ্বানে,
অব্যক্ত অনুভূতিকে কাব্য রূপে সাজাও স্মারকে,
তবু কেন অন্ধ নির্জনে,
দাঁড়িয়ে সমাপ্তির বিপরীতে।
বৃথা জন্মের অস্পষ্ট সমীকরণ –
না-মানুষের না-পৃথিবীর ব্যাকরণ –
মুখোশ-মানুষের সমরাঙ্গনে অস্পষ্টতা’র আবরণ –
বিদায় সম্ভাষণে অনুসন্ধানী বিচ্ছেদ্য কারণ-
পেয়ে-পায়নি,হারিয়ে-হারায়নি যথাযথ কারণে সম্পর্কের মরণ-
সম্পর্কের বিষক্রিয়ায় ছটফট যত্রতত্র নিশার-স্বপন-
মিষ্টতা-তিক্ততা বিঁধে সম্পর্ক শত বর্ষের ব্রত রত,
বারণ’কে কারণ করে সমাপ্তি তুমি আগত।